জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ‘হঠাৎ করেই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষকে বিপাকে ফেলেছে সরকার। ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম এক লাফে ১ হাজার ২৪০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৩৯১ টাকা হয়েছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমন বাস্তবতায় গ্যাসের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।’
শুক্রবার (৪ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ৮ থেকে ১০ টাকা। পল্লীবন্ধুর সময় যে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭ থেকে ১০ টাকার পেট্রোল এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যে সয়াবিনের দাম প্রতি লিটারে ছিল ১০৪ টাকা, তার বর্তমান মূল্য ২১০ টাকা। তিন বছরে প্রতি কেজি চিনির দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, আটা ২৮ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা, মসুর ডাল ৫৫ থেকে বেড়ে ১০৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘রান্নার জন্য পাইপলাইনের গ্যাসের বর্তমান মূল্য ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা করতে প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম ৬৬ থেকে ৭৯ শতাংশ বাড়াতে প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে পানির দাম ২০ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো কার্যকর হলে এর প্রভাবে সব ধরনের দ্রব্য ও সেবার দাম আরেক দফা বাড়বে। হাহাকার উঠবে দেশের ৯০ ভাগ ঘরে। পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বল্প মূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে টিসিবির গাড়ির সামনে লম্বা লাইন দিন দিন বাড়ছে। এরইমাঝে ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।